CreativsWorld https://www.creativsworld.com/2023/02/nid-correction-document.html

জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করতে কি কি লাগে জানুন


একজন নাগরিকের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার সাথে সাথে বিভিন্ন কাজের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্রের প্রয়োজন হয়ে থাকে। আবার জাতীয় পরিচয় পত্র করার পর অনেক সময় ভুলভ্রান্তি হয়ে থাকে, সেটির সংশোধন এর প্রয়োজন হয়। জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করতে যা লাগে তা নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করতে কি কি লাগে জানুন

ভোটার আইডি কার্ড দৈনন্দিন বিভিন্ন কর্মকান্ড পরিচালনায় এবং চলাফেরার পথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আপনার ভোটার আইডি কার্ডে কোনো তথ্য ভুল থাকলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সংশোধন করুন। অন্যথায় পরবর্তীতে এই ভুলের জন্য আপনাকে ভারী মাশুল দিতে হতে পারে।

জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করতে কি কি লাগে

জাতীয় পরিচয় পত্রের ভুলের ধরন অনুযায়ী জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করতে কি কি লাগে এই সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন ফি

একটি ভোটার আইডি কার্ড সর্বোচ্চ তিনবার সংশোধন করা যাবে।

১ম বার ২০০ টাকা  ভ্যাট ৩০ টাকা
২য় বার ৩০০ টাকা ভ্যাট ৪৫ টাকা
৩য় বার ৫০০ টাকা ভ্যাট ৭৫ টাকা

জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম সংশোধন করতে কি কি লাগে

যদি আপনার ভোটার আইডি কার্ডের নামে অথবা আপনার পিতা ও মাতার নামে কোন ধরনের ভুল থেকে থাকে সেক্ষেত্রে এগুলো সংশোধন করতে আবেদন ফরমের সাথে প্রয়োজনীয় কিছু কাগজ সংযুক্ত করতে হবে এবং আবেদন ফি পরিশোধ করতে হবে।

নাম সংশোধনে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসগুলো

  • অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ।
  • ড্রাইভিং লাইসেন্স / পাসপোর্ট/ নিকাহ-নামা/ এমপিও সিট/ সার্ভিস বই (প্রয়োজনের ক্ষেত্রে)
  • এসএসসি/ পিএসসি/ জেএসসি ও সমমানের পরীক্ষার সার্টিফিকেট ( প্রয়োজনের ক্ষেত্রে)
  • অফিস প্রত্যয়ন পত্র (চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে)
  • এই একই পদ্ধতিতে আপনারা পিতা-মাতার নাম সংশোধন করতে পারবেন।

জাতীয় পরিচয় পত্র জন্ম তারিখ সংশোধন করতে কি কি লাগে

জাতীয় পরিচয় পত্রে ভুলবশত বা কারণবশত জন্মতারিখ ভুল হয়ে থাকে বা অনেক সময় আমাদের অন্যান্য ডকুমেন্টস এর সাথে জন্মতারিখ মিলানোর জন্য জাতীয় পরিচয় পত্রের জন্মতারিখ সংশোধনের প্রয়োজন পড়ে।

জন্ম তারিখ সংশোধনে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসগুলো
  • অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ
  • জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক প্রাপ্ত এফিডেভিট।
  • এসএসসি/ পিএসসি/ জেএসসি ও সমমানের পরীক্ষার সার্টিফিকেট ( প্রয়োজনের ক্ষেত্রে)
  • পিতা মাতার জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি।
  • পিতার অন্যান্য সন্তানের তথ্য প্রমাণের জন্য ওয়ারিশ সার্টিফিকেট।
  • ড্রাইভিং লাইসেন্স/ পাসপোর্ট/ নিকাহ-নামা/ এমপিও সিট/ সার্ভিস বই (প্রয়োজনের ক্ষেত্রে)
  • ভোটার আইডি কার্ডের জন্ম তারিখ সংশোধনের কারণ সম্পর্কে আবেদনকারীর লিখিত বক্তব্য।
  • নাগরিক সনদপত্র (প্রয়োজনের ক্ষেত্রে)
  • চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে অফিস প্রধান কর্তৃক প্রত্যয়ন পত্র।

নাম পরিবর্তন করতে কি কি লাগে

জাতীয় পরিচয় পত্র করার সময় ভূলে একটি নামের জায়গায় অন্য একটি নাম চলে আসে বা নাম লিখতে গিয়ে নাম ভুল হয়ে যায় যার কারণে পরবর্তীতে আমাদের পরিচয় পত্রের নাম সংশোধনের প্রয়োজন পড়ে। জাতীয় পরিচয় পত্র এখন নাম তেমন একটা ভুল হয়না। তবুও যদি কারো নাম পরিবর্তন করতে হয় তাহলে নিচের প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস গুলো লাগবে।

নাম পরিবর্তনে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টগুলো

  • -অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ।
  • -মাতার জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি।
  • -জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক প্রাপ্ত এফিডেভিট।
  • -এসএসসি/ পিএসসি/ জেএসসি ও সমমানের পরীক্ষার -সার্টিফিকেট ( প্রয়োজনের ক্ষেত্রে)
  • -ড্রাইভিং লাইসেন্স/ পাসপোর্ট/ নিকাহ-নামা/ এমপিও সিট/ -সার্ভিস বই (প্রয়োজনের ক্ষেত্রে)
  • -নাগরিক সনদপত্র (প্রয়োজনের ক্ষেত্রে)
  • -পিতার অন্যান্য সন্তানের নাম ও অন্যান্য তথ্য প্রমাণের জন্য ওয়ারিশ সার্টিফিকেট।
  • -নাম পরিবর্তন এর কারণ সম্পর্কিত লিখিত বক্তব্য।
  • -চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে অফিস প্রধান কর্তৃক প্রত্যয়ন
  • -একই পদ্ধতিতে আপনারা পিতা ও মাতার নাম পরিবর্তন করতে পারবেন। তবে নাম পরিবর্তনের ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদ/এডুকেশনাল সার্টিফিকেট অনুযায়ী নুতন নাম সিলেক্ট করতে হবে।

স্বামী/ স্ত্রীর নাম সংযুক্ত বা পরিবর্তন করতে কি কি লাগে

খুব সহজ পদ্ধতিতে স্বামী/ স্ত্রীর নাম সংযুক্ত বা বাতিল এবং পরিবর্তন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আবেদন ফরম এর সাথে অল্প কিছু ডকুমেন্ট এবং আবেদন ফি সংযুক্ত করে এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে পারবেন।

প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টগুলো হলো

  • স্বামী/স্ত্রীর জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি।
  • বিবাহ নামা তথা কাবিননামা (প্রয়োজনের ক্ষেত্রে)
  • তালাকনামা/মৃত্যু সনদ (প্রয়োজনের ক্ষেত্রে)

জাতীয় পরিচয় পত্র ঠিকানা পরিবর্তন করতে কি কি লাগে

আমাদের অনেক সময় জাতীয় পরিচয় পত্রে ঠিকানা পরিবর্তন করার প্রয়োজন পড়ে অথবা ঠিকানা ভূল দেওয়ার পর পরবর্তীতে সেটি সংশোধন এর প্রয়োজন পড়ে।

এক ভোটার এলাকা হইতে অন্য ভোটার এলাকায় ভোটার স্থানান্তরের আবেদন (ফরম-১৩) পূরণ করে নিম্নোক্ত ডকুমেন্ট সংযুক্ত করে উপজেলা নির্বাচন অফিসে দাখিল করতে হবে।

  • ঠিকানা পরিবর্তনে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টগুলো
  • অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ।
  • উপজেলা কর্তৃক প্রাপ্ত নাগরিক সনদপত্র।

এরপরেও ঠিকানা প্রমাণের জন্য যদি কোন ধরনের ভেরিফিকেশন প্রয়োজন হয় তাহলে নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তা এ বিষয়ে আপনাকে অবগত করবে।

জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন আবেদন কোথায় থেকে করবেন?

আপনার নিকটস্থ উপজেলা নির্বাচন কমিশন অফিস হতে একটি ফরম সংগ্রহ করুন এবং ভুল গুলো উল্লেখ করে ফরম পূরণ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ উপজেলা নির্বাচন কমিশন অফিসে জমা দিন।

তাছাড়া আপনি অনলাইনে ইন্টারনেট ব্যবহার করে জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে পারবেন। আপনার যাবতীয় ভূল তথ্যগুলো সংশোধন করতে এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন এবং লগিন বা রেজিষ্ট্রেশন করে আবেদন করুন https://services.nidw.gov.bd/

শেষ কথা

আজকের পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের জানানোর চেষ্টা করলাম জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করতে কি কি লাগে।  আশা করি আপনারা খুব সহজে বুঝতে পারছেন জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করতে কি কি লাগে বা জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধনের প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস গুলো কি কি। জাতীয় পরিচয় পত্র নিয়ে যদি কোন ধরনের প্রশ্ন থাকে কমেন্ট এর মাধ্যমে আমাদের জানান।

পরিচিতদেরকে জানাতে শেয়ার করুন

0 Comments

দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন ??

Creativsworld কী?